সালাফদের দৃষ্টিতে আহলে হাদীস

বইটি কেবল একটি বই-ই নয়। বরং এটি দীর্ঘদিনের গবেষণাপত্র। যা মলাটবদ্ধ আকারে হাজির হতে যাচ্ছে পাঠকের কাঠগড়ায়। যার যবানবন্দী শুনে বিচারের আসনে বসা পাঠক নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন। আহলে হাদীসের পরিচয় নির্ধারণে স্বতন্ত্রভাবে এমন বিস্তারিত বয়ানে গবেষণামূলক বই আমার জানা মতে এটাই প্রথম। এর আগে বিভিন্ন বইতে বিক্ষিপ্তভাবে এই প্রসঙ্গে কিছু কথা এলেও তা ছিলো অগোছালো, অপূর্ণাঙ্গ আর বহু আপত্তি ও জিজ্ঞাসার জবাবমুক্ত। কিন্তু এই বইতে ষোলকলা পূর্ণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হয়েছে। শুধু এই একটি পরিভাষার উপরই রচনা করা হয়েছে পুরো বইটি। বইয়ের শেষদিকে ‘পরিশিষ্ট’ আকারে হাজির করা হয়েছে নানানজনের নানান ধরনের বক্তব্য ও মতামত। তারপর সেগুলোকে ইলমী আন্দাযে আদব রক্ষা করে দক্ষ হাতে ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে। উল্টামতের ধারকের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছে প্রকৃত বাস্তবতা আর মুখ-কলমের দাবীর মধ্যকার ঝুলে থাকা পর্দাকে।

আমি নিজের কাছে নিরপেক্ষ থেকে বইটি লিখেছি। বিস্তৃত অধ্যয়নের পর আমার কাছে যে সত্য উদ্ভাসীত হয়েছে তা তুলে ধরেছি। কোথাও এমন হয় নি যে, আমি জেনেবুঝে কোন গোঁজামিল দিতে চেষ্টা করেছি বা একটা বুঝে অপরটা লিখেছি। তারপরও মানুষ হিসেবে আমার অজান্তেও এমন কিছু হয়ে যেতে পারে বিধায় কয়েকজনকে দিয়ে পান্ডুলিপিটি আগাগোড়া পড়িয়েছি। তাদেরকে বারবার করে বলে দিয়েছিলাম বইটিকে কেবল একজন সাধারণ পাঠকের চোখে নয়, বরং একজন কঠিন সমালোচকের দৃষ্টিতে পড়ার জন্য। যাতে আমার চোখ এড়িয়ে কোথাও যদি এমন কোন ভুলব্যাখ্যা, গোঁজামিল বা অন্য কোন আপত্তিকর বিষয় থেকে যায় তবে সেটা শুধরে নিতে পারি। যাদেরকে দিয়ে পাণ্ডুলিপিটি পড়িয়েছি তারা প্রত্যেকেই মাশাআল্লাহ সমালোচনার দৃষ্টিতে পড়ার মতো যোগ্য মানুষ এবং ক্ষেত্রবিশেষ প্রচলিত আহলে হাদীস চিন্তাধারার ভাইদের প্রতি সহানুভূতিশীলও। সুতরাং আমার অন্যায্য কথা আমার চোখে ধরা না পড়লেও তাদের চোখে ঠিকই ধরা পড়বে- এমনটাই ছিলো আমার প্রত্যাশা।

– লেখক

বইয়ের নাম -সালাফদের দৃষ্টিতে আহলে হাদিস
লেখক – আবদুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশনী – মাকতাবাতুল আসলাফ
কভার – পেপারব্যাক
বিষয় – ফিকহ ও ফাতওয়া