সত্যই কোর’আনকে কেন্দ্র করেই হাজারো ফেরকার জন্ম হয়েছিলো। অথচ এই পবিত্র কোর’আনই মানুষদের সত্য পথের দিকে আহবান করতে নাযীল হয়েছে। এর প্রধান কারন; পবিত্র কোর’আনকে সবাই যার যার বুঝে ব্যাখ্যা করেছে, ফলে পথভ্রষ্ট হয়েছে। অথচ কোর’আন এর ব্যাখ্যা এবং এর নির্দেশনা মানতে হবে নিজেস্ব ব্যাখ্যা ব্যতিরেকে এবং সালাফদের বুঝে আসা নীতিতে।
এই সমাজে যুগে যুগে চলে আসা কোর’আনের তেমন একটি ভুল ব্যাখ্যাকৃত আয়াত হলো-
” আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা” (সুরা আন-নিসা ৩)
শিয়ারা যেমন এই আয়াত হতে ব্যাখ্যা করেছে- ২+৩+৪= ৯ টি বিয়ে করা একই সাথে একজন পুরুষের জন্য বৈধ, ঠিক তেমনি খারায়াজীদের ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে উক্ত ঘটনা সুরার শুরুতে থাকায় এর গুরুত্ব দ্বিগুন তাই ৯*২=১৮ টি পর্যন্ত বিয়ে করা একইসাথে একজন পুরুষের জন্য বৈধ। অথচ এর প্রতিটি ব্যাখ্যাই ভ্রষ্টতাপুর্ন।
আমাদের সমাজেও এর ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রচলিত- আয়াত এর পরের অংশ ১ টি বিয়ে করার কথা বলে পূর্বের নির্দেশকে মানসূখ করে দিয়েছে। আমাদের মা-বোনেরা তো পুরুষদের একের অধিক বিয়ে করাকেও অসভত্যার চোখে দেখে।
আদৌ কি হুকুম সালাফদের সময় হতে চলে এসেছে তা জানাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন। এখনকার এই নষ্ট সমাজে এ বিষয়ে জানা আমাদের জন্য আরো বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে। আর তাই সিয়ান এবার নিয়ে এলো বই ‘দুই তিন চার এক’। নিশ্চিতভাবে অজানা সত্যকে জানার এবং ওয়াহীর হুকুমের যথাযথ নির্দেশ বুঝে পালন করার একটি সুযোগ এই বইটির মাধ্যমে হবে, ইন শা আল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.