অসাধারন একটা বই পড়লাম। বইয়ের নাম “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”। বইটি আযান পকাশনীর। বিভিন্ন ইসলামিক পেইজে দেখলাম এই বইটা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই বইটা সংগ্রহ করলাম। এবং পড়েও ফেললাম। বিভিন্ন ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া চরম বিপদের মুহূর্তে দুআর মাধ্যমে বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়ার বাস্তব গল্পগুলো নিয়েই বইটা তৈরী হয়েছে।
দুআ হচ্ছে মুমিনের অস্ত্র। আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া পাওয়ার নামই হচ্ছে দুআ। মানুষ বিপদে পড়লে তা উত্তরনের উত্তম পথ হচ্ছে দুআ অর্থ্যাৎ আল্লাহর কাছে চাওয়া। হাদীসে বলা হয়েছে, তুমি আল্লাহর কাছে চাও এমনকি তোমার জুতার ফিতা ছিড়ে গেলেও। আর পবিত্র কোরআনে আছে দয়াময় আল্লাহও বান্দার ডাকে সাড়া দেন। আল্লাহ যখন বান্দার দুআ কবুল করে বান্দাকে যখন দিতে থাকেন তখন বান্দা ভাবতেও পারে না কিভাবে কোন পথে তাকে আল্লাহ এভাবে সাহায্য করলেন! এমনভাবে তিনি আমাদের সাহায্য করেন যা আমাদের চিন্তারও বাহিরে। কিন্তু আমরা আজ দুআ থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। বিপদে পড়লে আমরা মাজারে ছুটে যাই, গাইরুল্লাহর দিকে হাত পাতি যা স্পষ্ট শির্ক। আমরা সঠিকভাবে আল্লাহর কাছে চাইতেও পারি না। এবারে বইয়ে উল্লিখিত একটা গল্প সংক্ষিপ্ত আকারে পেশ করছি।
মিশরের ইজিপ্টে এক মুসলিম ভাই হোটেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। হোটেলের সব কাজ সিদ্ধ হস্তে সম্পন্ন করত বিধায় তার অনেক সুখ্যাতি ছিল। কিন্তু একটা অপকর্ম তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। সেটা হল তাকে সেই হোটেলে মদ পরিবেশন করতে হত। মদ ইসলামে হারাম। এভাবে উপার্জিত অর্থও হারাম। সে একজন আলেমের শরনাপন্ন হল। আলেম তাকে দ্রুতই চাকুরী ছেড়ে দেবার নির্দেশ দেন। নয়তো আখিরাতে তাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সে অকূল পাথারে পড়ে গেল। এ মূহুর্তে চাকুরী ছেড়ে দিলে সে তার পরিবার পরিজন নিয়ে ভীষন বিপদে পড়ে যাবে। আবার ঐদিকে আখেরাতের ভয়। অবশেষে আখিরাতকেই সে প্রাধান্য দিল। সে আল্লাহর কাছে কাতর নয়নে অনেক আশা ভরসা নিয়ে দুআ করল। আল্লাহর উপর ভরসা করল। দুআ শেষে সে রেজিগনেশন লেটার লিখতে শুরু করল। হঠাৎ করেই টেবিলে রাখা ফোনটা বেজে উঠল। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা রিসিভ করল। ওপাশ থেকে অবিশাস্য এক সংবাদ পেল। অফিসের বস তাকে বলল তোমার প্রমোশন হয়েছে, তোমাকে এখন থেকে মদিনার হোটেলে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল। সে ভাবল মদিনায় তো মদ নিষিদ্ধ। সেখানে মদ পরিবেশন করার তো প্রশ্নই উঠে না। হৃদয়ের আকুতি ভরা এক দুআতেই তার বিপদকে আল্লাহ কি অবিশ্বাস্য উপায়ে দূর করে দিলেন। কৃতজ্ঞতার তার মন ভরে উঠল। তার ঈমানও কয়েকগুন বেড়ে গেল।
এরকম আরো হৃদয়কে নাড়িয়ে দেবার মত দুআ কবুলের বাস্তব অনেক গুলো গল্প বইটাতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কেউ যদি বইটা পড়েন তাহলে তার ঈমানও যেমন দৃঢ় হবে তেমনি দুআর গুরুত্বও উপলব্ধি করতে পারবেন।
পরিশেষে ইমাম আশ শাফিয়ীর একটা উক্তি দিয়ে শেষ করছি, ‘তোমরা দুআ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কর, ফলে তোমাদের দুআ বিফলে যায়। তোমরা জান না দুআয় কি আছে; বরং শেষ রাতের দুআ এমন এক তীর, যা কখনোই লক্ষ্যচ্যুত হয় না।’
দুআ কবুলের গল্পগুলো
৳ 280.00 ৳ 200.00
অনুবাদ, সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান
Description
Author
Author
রাজিব হাসান (Rajib Hasan)
Publisher
Publisher
আযান প্রকাশনী - azan prokashoni
Reviews (0)
Be the first to review “দুআ কবুলের গল্পগুলো” Cancel reply
Reviews
There are no reviews yet.